সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

বিষয়(Fact), বিচার্য বিষয়(Facts in issue), প্রাসঙ্গিকতা(Relevant), দলিল(Document) এবং সাক্ষ্য(Evidence) বলতে কি বুঝেন? আলোচনা করুন।

 

সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ বাংলাদেশ, সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ বাংলাদেশ pdf, সাক্ষ্য আইনের ধারা সমূহ, সাক্ষ্য আইন নোট, সাক্ষ্য আইন ধারা ৪৫, সাক্ষ্য আইন গাইড, সাক্ষ্য আইনের ৮ ধারা, সাক্ষ্য আইন ধারা ৩২, What is the difference between relevant fact and fact in issue?, What are facts and facts in issue?, What is the meaning of fact in issue?, What are the relevant facts?, facts in issue and relevant facts pdf, difference between fact in issue and relevant fact, relevant facts in evidence act, fact in issue example, example of relevant facts in a case, assignment on evidence act, 1872 facts in law relevance and admissibility of evidence pdf



বিষয়(Fact), বিচার্য বিষয়(Facts in issue), প্রাসঙ্গিকতা(Relevant), দলিল(Document) এবং সাক্ষ্য(Evidence) বলতে কি বুঝেন? আলোচনা করুন।




বিষয়(Fact)

সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারায় বিষয়(Fact) বলতে ‘ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য কোন কিছু বা কোন কিছুর অবস্থা বা কোন কিছুর সম্পর্ক(anything, state of things, or relation of things capable of being perceived by the senses) এবং মানসিক কোন অবস্থা যা সম্পর্কে ব্যক্তি সচেতন’ কে বুঝানো হয়েছে(any mental condition of which any person is conscious)। 


কি কি ক্ষেত্রে বিষয় বলে গণ্য হবে তা নিচের উদাহরণে দেখানো হলো-

১. কোন নির্দিষ্ট বস্তু কোন নির্দিষ্ট স্থানে কোন নির্দিষ্ট অবস্থায় সাজানো রয়েছে যা একটি বিষয়।

২. কোন ব্যক্তি কোন কিছু শুনেছে বা দেখেছে, এটি একটি বিষয়।

৩. এক ব্যক্তি কিছু কথা বলেছে, তা একটি বিষয়।

৪. একজন ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট মত পোষণ করেন, কোন ইচ্ছা পোষণ করেন, সরল বিশ্বাসে বা প্রতারণামূলকভাবে কাজ করেন, কোন নির্দিষ্ট শব্দ কোন নির্দিষ্ট অর্থে ব্যবহার করেন বা কোনো বিশেষ সময়কালে কোন বিশেষ অনুভূতি সম্পর্কে সচেতন আছে বা ছিল এটাও একটি বিষয়।

৫. এক ব্যক্তির কোন খ্যাতি(reputation) আছে , এটি একটি বিষয়।


সুতরাং কোন মামলা বা মোকদ্দমায় যা প্রমাণিত বা অপ্রমাণিত কিংবা মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাকে আমরা বিষয়(Fact) হিসেবে  বলতে পারি।


বিচার্য বিষয়(Facts in issue)

বিচার্য বিষয় বলতে সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারায় এমন কোন বিষয় যা হতে স্বতোৎসারিত বা অন্য কোন বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে মোকদ্দমায় দাবীকৃত অথবা অস্বীকৃত কোন অধিকার, দায় অথবা অক্ষমতার অস্তিত্ব, অস্তিত্বহীনতা, প্রকৃতি অথবা পরিমাণ আবশ্যিকভাবে প্রতীয়মান হয়(any fact from which, either by itself or in connection with other facts, the existence, non-existence, nature or extent of any right, liability, or disability, asserted or denied in any suit or proceeding, necessarily follows) -এমন বিষয়গুলোকে বোঝানো হচ্ছে।

বিচার্য বিষয় নিষ্পত্তির জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়কে সহায়ক হিসেবে বিবেচনায় নিতে হয়। সুতরাং বিচার্য বিষয় বলতে বিবাদের বিষয় বা মামলার সিদ্ধান্তের বিষয়বস্তুকে বোঝায় যা হতে বৈধ অধিকার, দায় অথবা অক্ষমতা ব্যক্ত করে ও  প্রমানিত হয় এর উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হয়।


দেশের প্রচলিত আইন  অনুযায়ী যখন কোন আদালত কোন বিষয় সম্পর্কিত প্রশ্ন লিপিবদ্ধ করেন তখন আদালতের প্রশ্নের উত্তর প্রদানে সমর্থন বা অস্বীকার করে যে বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান করা হয় সেখানে বিচার্য বিষয় উঠে আসে।


সহজ কথা, কোন মামলার বিচার্য বিষয়(Facts in issue) হলো এমন একটি বিষয়  যা দেওয়ানি মামলায় মামলার প্লিডিংসেএকপক্ষ দাবি করে এবং অন্যপক্ষ অস্বীকার করে এবং যা  প্রমাণ করতে পারলে মামলার পক্ষদ্বয়ের অধিকার এবং দায় নির্ধারণ করে আদালত রায়  দিতে পারেন।


অন্যদিকে ফৌজদারি মামলায় বিচার্য বিষয় হলো এমন একটি বিষয় যা এক পক্ষ কর্তৃক অভিযোগ করে এবং অন্যপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে দোষী নয় বলে দাবি করে এবং যেটা প্রমাণ করতে পারলে, আদালত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে শাস্তি বা খালাস-যেকোনো একটি রায় দিতে পারেন।


ধরা যাক ‘খ’ কে হত্যার অভিযোগে ‘ক’ অভিযুক্ত হলো। তার বিচারকালে নিম্নলিখিত ঘটনা বা বিষয়গুলো বিচার্য বিষয় হিসেবে লিপিবদ্ধ হতে পারে-


'ক' ‘খ’ এর মৃত্যু ঘটিয়েছে;

'ক' ‘খ’ এর মৃত্যু ঘটানোর ইচ্ছা করেছে;

'ক' ‘খ’ এর নিকট হতে গুরুতর ও আকস্মিক উস্কানি পেয়েছিল; এবং

'ক' যে কাজের মাধ্যমে ‘খ’ এর মৃত্যু ঘটিয়েছে তা করার সময় মানসিক বিকারের কারণে 'ক' এর প্রকৃতি উপলব্ধি করতে সক্ষম ছিল না।


প্রাসঙ্গিকতা(Relevant)

সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারায় বলা হয়েছে যে, একটি বিষয়কে অন্যটির প্রাসঙ্গিক তখনই বলা হয়, যখন একটি অন্যটির সঙ্গে এ আইনের বিষয়ের প্রাসঙ্গিকতা সংক্রান্ত বিষয়াবলীতে বর্ণিত বিভিন্ন উপায়ের মধ্যে যেকোনো উপায়ে সংযোজিত থাকে(One fact is said to be relevant to another when the one is connected with the other in any of the ways referred to in the provisions of this Act relating to the relevancy of facts)। 


অর্থাৎ আদালতে যখন একটি বিষয় অপর একটি বিষয়ের সাথে কোন না কোনভাবে যুক্ত থাকে তখন একটি বিষয়কে অন্য একটি বিষয়ের প্রাসঙ্গিক বলা হয়। এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো যে, যে সকল ঘটনা বা বিষয়ে প্রাসঙ্গিক নয় সেগুলোর উপর কোনো সাক্ষ্য প্রদান করা যায় না। 


দলিল(Document)

সাধারনত বস্তুর উপর মানুষের বক্তব্যকে দলিল বলে।  কিন্তু সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, দলিল এর অর্থ হলো, কোন পদার্থের ওপর অক্ষর, সংখ্যা বা চিহ্নের সাহায্যে অথবা ওই পন্থাসমূহের একাধিক পন্থায় প্রকাশিত বা বর্ণিত কোন বিষয়, যে পন্থায় ওই বিষয় রেকর্ড বা ডিজিটাল রেকর্ড করার জন্য ব্যবহারের ইচ্ছা করা হতে পারে অথবা ব্যবহার করা হতে পারে(any matter expressed or described upon any substance by means of letters, figures or marks, or by more than one of those means, intended to be used, or which may be used, for the purpose of recording that matter and includes any digital record)। দলিল একটি জড় পদার্থ যা মানুষের মাধ্যমে আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আবার এ দলিলকে মৃত প্রমাণ (Dead Proof) বলা হয়।


  • লিখন মাত্রই অর্থাৎ কোন কিছু লিখিত আকারে থাকাই হলো দলিল। কোন চুক্তির শর্তাবলি সম্বলিত লিখিত বস্তু-যা চুক্তিটির প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে-একটি দলিল। কোন ব্যাংকারের চেক-একটি দলিল। কোন পাওয়ার-অব-এটর্নী-একটি দলিল;
  • লিখিত দলিল, লিথোগ্রাফকৃত অথবা ফটোগ্রাফকৃত সকল শব্দই দলিল;
  • কোন মানচিত্র বা নকশা একটি দলিল;
  • কোন ধাতুর খণ্ডে বা প্রস্তর খণ্ডের ওপর খোদাই করা হলেও তা একটি দলিল বলে গণ্য হবে; এবং
  • কোন ব্যঙ্গচিত্রও(caricature) দলিলের অন্তর্ভুক্ত হবে।


উদাহারন হিসেবে বলা যায় যে, ‘ক’ তার আদেশানুযায়ী প্রদেয় একটি বিল অব এক্সচেঞ্জের উল্টা দিকে তার নাম স্বাক্ষর করে। ব্যবসায়গত প্রচলনসিদ্ধ রীতি ও তাৎপর্য অনুযায়ী বরাত চিঠি এর উল্টা পিঠে এইরূপ স্বাক্ষর বলতে বুঝায়–বিলটি এর ধারককে দিতে হবে। এরূপ স্বাক্ষর একটি দলিল এবং স্বাক্ষরটির উপরে “ধারককে প্রদেয়” কথাগুলো বা তদনুরূপ কোন কথা লেখা থাকলে স্বাক্ষরটিকে যে অর্থে গ্রহণ করা হত, এই ক্ষেত্রেও স্বাক্ষরটিকে ঠিক সে অর্থেই গ্রহণ করতে হবে।



যাহোক, দন্ডবিধি আইনের ২৯ ধারায় দলিলের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে যে, দলিল শব্দে অক্ষরসমূহ, আকৃতিসমূহ, বা চিহ্নসমূহের মাধ্যমে অথবা উক্ত মাধ্যমসমূহের একাধিকের সাহায্যে যেকোনো বস্তুর উপর ব্যক্ত বা বিকৃত যেকোনো বিষয় বুঝায়,যা উক্ত বস্তুর প্রমাণ রূপে ব্যবহারের জন্য অভিপ্রেত বা যা  উক্ত বস্তুর প্রমাণ রূপে ব্যবহার হতে পারে। 


সাক্ষ্য(Evidence)


সাক্ষ্য আইনের ৩ নং ধারা মোতাবেক সাক্ষ্য শব্দের অর্থ এবং এর আওতাভুক্ত হবে- 

  • যে ঘটনার বিষয়ে আদালতে বিচার অথবা তদন্ত হচ্ছে, সে সম্পর্কে সাক্ষীগণকে যে সকল বিবরণ দেয়ার জন্য আদালত অনুমতি দেয় অথবা তাদের যে সকল বিবরণ আদালতের প্রয়োজন হয়, এ সকল বিবরণকে বলা হয় মৌখিক সাক্ষ্য।
  • যেসব দলিল আদালত কর্তৃক পরিদর্শনের জন্য উপস্থাপন করা হয়, সেসব দলিলকে দালিলিক সাক্ষ্য বলা হয়।


এদিকে ২০২২ সালে Evidence Act, 1872 অধিকতর সংশোধন করে Evidence (Amendment) Act, 2022 (Act No XX of 2022) আওতায় Sub-clause-২ এরপরে Sub-clause-৩ এ সাক্ষ্য(Evidence) হিসেবে নিম্নোক্ত শব্দাবলী আওতাভুক্ত করেছে-


'all materials or objects relating to blood, semen, hair, all body material, organ or part of organ, Deoxyribo Nucleic Acid (DNA), finger impression, palm impression, iris impression and foot print or any other similar material or object which may-

  • (i) establish that an offence has been committed or establish a link or relation between an offence and its victim or an offence and its offender; and
  • (ii) prove or disprove a fact:

such materials or objects are called physical or forensic evidence.' 


সাক্ষ্য আইনের প্রশ্নোত্তর করার কাজে যে সকল  বইয়ের সহায়তা নেওয়া হয়েছে-


  • সাক্ষ্য আইন – বি. এল. দাস
  • সাক্ষ্য আইন – শ্রী দীনেশচন্দ্র দেবনাথ
  • সাক্ষ্য আইনের ভাষ্য – গাজী শামছুর রহমান
  • সাক্ষ্য আইন- সৈয়দ হাসান জামিল
  • সাক্ষ্য আইন— বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া
  • সাক্ষ্য আইন – বাসুদেব গাঙ্গুলী
  • সাক্ষ্য আইন – প্রফেসর ড. এটিএম কামরুল ইসলাম
  • সাক্ষ্য আইন — বি. এল. দাস
  • সাক্ষ্য আইন–আশরাফুল আলম
  • সাক্ষ্য আইন–বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া
  • সাক্ষ্য আইন বাংলাদেশ – প্রফেসর ড. খবির ‍উদ্দিন আহম্মদ
  • সাক্ষ্য আইন : তত্ত্ব এবং বিশ্লেষণ – ব্যারিস্টার মোঃ আব্দুল হালিম
  • ভারতীয় সাক্ষ্য আইন ১৮৭২– অনিল কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
  • সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ (ইংলিশ-বাংলা একত্রে)--জোবায়ের আহমদ (ফরিদ)
  • সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ (১৮৭২ সালের ১নং আইন) — মোঃ আনোয়ার হোসেন
  • সাক্ষ্য ও রেজিস্ট্রেশন আইন — মোঃ রফিউদ্দিন
  • আইন বিষয়ক অভিধান — গাজী শামছুর রহমান
  • আইন-শব্দকোষ – মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, আনিসুজ্জামান
  • আইনকোষ– মোঃ আব্দুল হামিদ
  • Law Dictionary – মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম
  • বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষার আইন সহায়িকা – আমিনুল ইসলাম, মো. আনোয়ারুল হাকিম আরাফাত ও ইমতিয়াজ আহমেদ


Post a Comment

0 Comments