সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩

 

মিডিয়া ও সাইবার আইন

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ৫২ নং আইন )

 

Censorship of Films Act, 1963 রহিতক্রমে সময়োপযোগী করিয়া পুন:প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন

 

যেহেতু দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সুরক্ষা, বিকাশ, সংরক্ষণ, পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব, চলচ্চিত্র শিল্পের সৃজনশীলতা তথা চলচ্চিত্র শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সুরক্ষা, বিকাশ, সংরক্ষণ, পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংহতকরণ, চলচ্চিত্র শিল্পের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি; এবং

যেহেতু চলচ্চিত্রের কারিগরি মানোন্নয়ন, শৈল্পিক গুণাবলি বৃদ্ধি ও নির্মাণশৈলীসহ চলচ্চিত্র শিল্পের সার্বিক উন্নয়ন, চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন সনদ প্রদান এবং সার্টিফিকেশনপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র সুষ্ঠুভাবে প্রদর্শনের লক্ষ্যে Censorship of Films Act, 1963 (Act No. XVIII of 1963) রহিতক্রমে সময়োপযোগী করিয়া উহা পুন:প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

 

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

 (১) এই আইন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

২। সংজ্ঞা

বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

(১) “আপিল কমিটি” অর্থ ধারা ১১ এর অধীন গঠিত আপিল কমিটি;

(২) “চলচ্চিত্র” অর্থ সেলুলয়েড, অ্যানালগ, ডিজিটাল বা অন্য কোনো মাধ্যমে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র, কার্টুনচিত্র, অ্যানিমেশনচিত্র বা সরকার কর্তৃক, সময় সময়, বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো চলচ্চিত্র;

(৩) “চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;

(৪) “প্রচার সামগ্রী” অর্থ ধারা ৭ এ বর্ণিত কোনো প্রচার সামগ্রী;

(৫) “ব্যক্তি” অর্থে স্বাভাবিক ব্যক্তিসহ কোনো সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, সংস্থা, কোম্পানি, সমিতি বা সংঘ, সংবিধিবদ্ধ হউক বা না হউক, অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(৬) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

(৭) “বোর্ড” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন গঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড;

(৮) “মূল্যায়ন প্রতীক” অর্থ ধারা ৫ এর উপধারা (৬) এর অধীন নির্ধারিত মূল্যায়ন প্রতীক (rating symbol);

(৯) “যৌথ প্রযোজনা” অর্থ ধারা ১৭ এর অধীন বাংলাদেশ এবং অন্য এক বা একাধিক দেশের প্রযোজক কর্তৃক যৌথভাবে নির্মিত চলচ্চিত্র;

(১০) “সার্টিফিকেশন” অর্থ ধারা ৫ এর উপধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত সার্টিফিকেশন।

৩। বোর্ডের গঠন

 (১) সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশে নির্মিত চলচ্চিত্র, আমদানিকৃত বিদেশি চলচ্চিত্র, বাংলাদেশি কোনো ব্যক্তি কর্তৃক দেশে বা বিদেশে নির্মিত কোনো চলচ্চিত্র এবং যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র জনসাধারণের মধ্যে যে কোনো মাধ্যমে প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে পরীক্ষণ ও সার্টিফিকেশন প্রদানের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড নামে একটি বোর্ড গঠন করিবে।

(২) ১ (এক) জন চেয়ারম্যান এবং অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) জন সদস্য সমন্বয়ে বোর্ড গঠিত হইবে।

(৩) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব বোর্ডের চেয়ারম্যান হইবেন।

(৪) বোর্ডের মেয়াদ হইবে ১ (এক) বৎসর, তবে পরবর্তী বোর্ড কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বিদ্যমান বোর্ড উহার কার্যক্রম চলমান রাখিবে।

(৫) বোর্ডের কার্যপদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

৪।  বোর্ডের কার্যাবলি

 এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ডের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:-

(ক) চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন প্রদানের লক্ষ্যে আবেদন গ্রহণ;

(খ) চলচ্চিত্রের শ্রেণিবিন্যাস ও মূল্যায়ন প্রতীকসহ সার্টিফিকেশন প্রদান;

(গ) চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন সাময়িক স্থগিত বা বাতিলকরণ;

(ঘ) চলচ্চিত্রের প্রচার সামগ্রীর অনুমোদন প্রদান;

(ঙ) যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন প্রদান;

(চ) চলচ্চিত্র আমদানি ও রপ্তানির অনুমোদন ও সার্টিফিকেশন প্রদান;

(ছ) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, অর্পিত অন্য কোনো কার্য সম্পাদন।



৫।  চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন

 

 (১) Cinematograph Act, 1918 (Act No. II of 1918) এর section 3 এর অধীন প্রাপ্ত লাইসেন্সে বর্ণিত কোনো স্থানে যে কোনো মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে কোনো চলচ্চিত্রের অনুকূলে সার্টিফিকেশন গ্রহণের জন্য উক্ত চলচ্চিত্রের প্রযোজক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি কর্তৃক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও চলচ্চিত্রের কপিসহ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বোর্ডের নিকট আবেদন দাখিল করিতে হইবে।

(২) বোর্ড, উপধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত চলচ্চিত্র উক্ত শিল্পের সুরক্ষা, বিকাশ, সংরক্ষণ, পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব, চলচ্চিত্র শিল্পের সৃজনশীলতা তথা চলচ্চিত্র শিল্পের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সুরক্ষা, বিকাশ, সংরক্ষণ, পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংহতকরণ, চলচ্চিত্র শিল্পের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি, চলচ্চিত্রের কারিগরি মানোন্নয়ন, শৈল্পিক গুণাবলি বৃদ্ধি ও নির্মাণশৈলীসহ চলচ্চিত্র শিল্পের সার্বিক উন্নয়নের নিরিখে পর্যালোচনা করিবে।

(৩) যদি উক্ত চলচ্চিত্র প্রদর্শনের উপযোগী বলিয়া বিবেচিত হয়, তাহা হইলে বোর্ড, উহার জন্য নির্দিষ্ট শ্রেণি নির্ধারণ করিয়া মূল্যায়ন প্রতীকসহ সার্টিফিকেশন প্রদান করিবে।

(৪) বোর্ড, প্রয়োজনে, কোনো চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন কার্যকর থাকিবার মেয়াদ নির্দিষ্ট করিয়া দিতে পারিবে।

(৫) উপধারা (৪) এর অধীন কোনো চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশনের মেয়াদ নির্দিষ্ট করিয়া দেওয়া হইলে, বোর্ড, এতদুদ্দেশ্যে প্রাপ্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উক্তরূপ মেয়াদ বৃদ্ধি করিতে বা বর্ধিত মেয়াদ পুনরায় বৃদ্ধি করিতে বা এইরূপ নির্দিষ্টকৃত বা বর্ধিত মেয়াদ সংক্রান্ত শর্ত প্রত্যাহার করিতে পারিবে।

(৬) চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের শ্রেণিবিন্যাস ও মূল্যায়ন প্রতীক বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

(৭) যদি কোনো চলচ্চিত্র পরীক্ষণের পর বোর্ডের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, উহা সর্বসাধারণের মধ্যে প্রদর্শনের উপযোগী নহে, তাহা হইলে উহা সীমিতভাবে কোনো পেশা বা ব্যক্তি শ্রেণির জন্য প্রদর্শনের শর্তে সার্টিফিকেশন প্রদান করা যাইবে।

(৮) আবেদনকারী উপধারা (৭) এর অধীন সীমিত প্রদর্শনের শর্তে সার্টিফিকেশন গ্রহণে লিখিতভাবে সম্মতি জ্ঞাপন করিলে বোর্ড আবেদনকারীর অনুকূলে মূল্যায়ন প্রতীক সার্টিফিকেশন প্রদান করিবে।

(৯) যদি কোনো চলচ্চিত্র পরীক্ষণের পর উহা প্রদর্শনের অনুপযোগী বিবেচিত হয় তাহা হইলে বোর্ড উহার অনুপযোগী সুনির্দিষ্ট অংশ কর্তন করিয়া উক্ত চলচ্চিত্র পুনরায় জমা প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ নির্দেশনা প্রতিপালনপূর্বক উহা পুনরায় জমাদান করা হইলে এবং পুনঃপরীক্ষণে উহা প্রদর্শনযোগ্য বিবেচিত ইহলে, বোর্ড, উক্ত চলচ্চিত্রের অনুকূলে মূল্যায়ন প্রতীকসহ সার্টিফিকেশন প্রদান করিতে পারিবে।

(১০) যদি বোর্ড কর্তৃক চিহ্নিত অংশ বা অংশসমূহ কর্তনের ফলে পরিচালক বা প্রযোজক অথবা আবেদনকারীর নিকট প্রতীয়মান হয় যে, উক্তরূপ কর্তনের ফলে চলচ্চিত্রটির কাহিনির ধারাবাহিকতা নষ্ট হইয়া যাইবে, তাহা হইলে উক্তরূপ কর্তনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পাশাপাশি কাহিনির ধারাবাহিকতা বজায় রাখিবার জন্য নূতন দৃশ্য ও সংলাপ সংযোজন করিয়া উহা পুনরায় বোর্ডের নিকট উপস্থাপন করা যাইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, পুনরায় উপস্থাপিত চলচ্চিত্রটির মোট দৈর্ঘ্য বা চলমান সময় মূল চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ্য বা চলমান সময়ের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হইতে হইবে।

(১১) উপধারা (১০) অনুযায়ী পুনরায় দাখিলকৃত চলচ্চিত্রটি পরীক্ষান্তে প্রদর্শনযোগ্য বিবেচিত হইলে বোর্ড মূল্যায়ন প্রতীকসহ সার্টিফিকেশন প্রদান করিবে।

(১২) যদি সার্টিফিকেশনের জন্য আবেদনকৃত কোনো চলচ্চিত্র পরীক্ষণে বোর্ডের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, চলচ্চিত্রটির রং, ডাবিং, সাউন্ড, সাউন্ড ইফেক্টসহ অন্যান্য কারিগরি বিষয়াদি অসম্পূর্ণ এবং চলচ্চিত্রটি কাহিনির নিম্নমান, অসংলগ্নতা, অবিন্যস্ততা, শৈল্পিক গুণাবলি বর্জিত নির্মাণশৈলী বা চিত্রায়ণ, রুচিহীন ও দূর্বল নির্মাণ শৈলীর কারণে উহা দর্শক উপযোগী নহে তাহা হইলে বোর্ড চলচ্চিত্রটির অনুকূলে সার্টিফিকেশন মঞ্জুর প্রত্যাখ্যান করিবে এবং এইরুপ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ১৫ (পনেরো) কার্যদিবসের মধ্যে উহা আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অবহিত করিতে হইবে।

(১৩) বোর্ড, প্রয়োজনে, সার্টিফিকেশনের জন্য জমাদানকৃত কোনো চলচ্চিত্রের কাহিনি, উপজীব্য, সংলাপ, দৃশ্য, চিত্রায়ণ বা উপস্থাপন কৌশলসহ অন্য কোনো বিষয়ে কোনো কর্তৃপক্ষ, সংস্থা বা সংগঠনের মতামত গ্রহণ করিতে পারিবে।

(১৪) ধারা ১২ এর অধীন আপিল আবেদন নাকচ হইলে আবেদনকারী উক্ত চলচ্চিত্র পরিমার্জন বা পুন:নির্মাণ করিয়া উহা সার্টিফিকেশনের জন্য পুনরায় বোর্ডের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।

৬। চলচ্চিত্র আমদানি ও রপ্তানি সার্টিফিকেশন

সরকার কর্তৃক, সময় সময়, জারীকৃত আমদানি নীতি আদেশ এবং রপ্তানি নীতি সাপেক্ষে, চলচ্চিত্র আমদানির পর ও রপ্তানির পূর্বে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বোর্ডের নিকট হইতে সার্টিফিকেশন গ্রহণ করিতে হইবে।

৭।  প্রচার সামগ্রীর অনুমোদন

 (১) কোনো সার্টিফিকেশনপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র বা নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রের পোস্টার, ফটোসেট, বিলবোর্ড, ব্যানার অফিস সাজসজ্জা, ট্রেইলার, টিজার, গান, সংলাপসহ কোনো প্রচার সামগ্রী গণমাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে প্রচারের পূর্বে বোর্ডের অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে এবং উক্ত প্রচার সামগ্রীতে চলচ্চিত্রের নাম, প্রযোজক, পরিচালক, মুদ্রণকারী বা পরিস্ফুটনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ থাকিতে হইবে।

(২) বোর্ড, সিলমোহর যুক্ত করিয়া চলচ্চিত্রের পোস্টার অনুমোদন করিবে এবং উক্ত অনুমোদিত পোস্টারের ১(এক) কপি বোর্ড কার্যালয়ে সংরক্ষণ এবং অপর ১ (এক) কপি সংশ্লিষ্ট প্রযোজক বা পরিচালককে সংরক্ষণের জন্য প্রদান করিবে।

(৩) উপধারা (২) এর অধীন সিলমোহরযুক্ত অনুমোদিত পোস্টারের অনুরূপ পোস্টার জনগণের মধ্যে প্রচারের জন্য সিলমোহর ব্যতীত প্রকাশ করা যাইবে, তবে উক্ত সিলমোহরবিহীন পোস্টারের ১ (এক) কপি সংরক্ষণের জন্য বোর্ড কার্যালয়ে জমা প্রদান করিতে হইবে।

(৪) কোনো চলচ্চিত্রের ট্রেইলার বোর্ড অনুমোদন করিবে এবং অন্যান্য প্রচার সামগ্রী বোর্ড বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক অনুমোদনযোগ্য হইবে।

৮। সার্টিফিকেশন সাময়িক স্থগিতকরণ

 

(১) ধারা ৫ এর উপধারা (২), (৩) ও (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি চেয়ারম্যানের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোনো একটি সার্টিফিকেশন প্রাপ্ত চলচ্চিত্র জনগণের মধ্যে প্রদর্শিত হওয়া সমীচীন নহে, তাহা হইলে তিনি কারণ উল্লেখপূর্বক উক্ত চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন সাময়িকভাবে স্থগিতের আদেশ জারি করিতে পারিবেন।

(২) যদি কোনো জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোনো একটি সার্টিফিকেশনপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র তাহার এখতিয়ারভুক্ত জেলার জনগণের মধ্যে প্রদর্শনের অনুপযোগী বা উহার প্রদর্শন জনস্বার্থে স্থগিত করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি উক্ত চলচ্চিত্রের প্রদর্শন সাময়িকভাবে স্থগিতের আদেশ জারি করিতে পারিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, সাময়িক স্থগিতাদেশের কারণ উল্লেখপূর্বক বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অবহিত করিতে হইবে।

(৩) উপধারা (১) বা (২) এর অধীন কোনো চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন সাময়িকভাবে স্থগিত থাকাকালে ইহা সার্টিফিকেশনবিহীন চলচ্চিত্র হিসাবে গণ্য হইবে।

(৪) উপধারা (১) বা (২) এর অধীন জারীকৃত সাময়িক স্থগিতাদেশের অনুলিপি ব্যাখ্যাসহ চেয়ারম্যান কর্তৃক অবিলম্বে সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।

(৫) সরকার, সাময়িক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার বা, ক্ষেত্রমত, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, চলচ্চিত্রটিকে সার্টিফিকেশনবিহীন চলচ্চিত্র হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, সাময়িক স্থগিতাদেশ জারির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকার, এতদুদ্দেশ্যে কোনো আদেশ জারি না করিলে উক্ত সাময়িক স্থগিতাদেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।

৯।  সার্টিফিকেশন বাতিল ও প্রচার সামগ্রী বাজেয়াপ্তকরণ

 (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কারণ উল্লেখপূর্বক, কোনো সার্টিফিকেশনপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন বাতিল করিতে পারিবে এবং এতদুদ্দেশ্যে চলচ্চিত্রটির প্রদর্শন সমগ্র বাংলাদেশ বা দেশের কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় প্রদর্শনের অযোগ্য ঘোষণা করিতে পারিবে।

(২) যেইক্ষেত্রে বোর্ডের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘন করিয়া প্রদর্শনের অযোগ্য ঘোষিত কোনো চলচ্চিত্র বা প্রচার সামগ্রী প্রদর্শন করা হইতেছে, সেইক্ষেত্রে, বোর্ড বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি লিখিতভাবে উক্ত স্থানে অনুসন্ধান এবং চলচ্চিত্র ও প্রচার সামগ্রী, যদি থাকে, বাজেয়াপ্ত করিবার জন্য পরিদর্শক পদমর্যাদার নিম্নে নহে এমন কোনো পুলিশ কর্মকর্তা বা জেলা তথ্য কর্মকর্তাকে ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে।

(৩) উপধারা (২) এর অধীন কোনো চলচ্চিত্র বা প্রচার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হইলে উহা অনতিবিলম্বে আদালতের নিকট জব্দ তালিকাসহ প্রেরণ করিয়া বোর্ডকে উহা লিখিতভাবে অবহিত করিতে হইবে এবং অতঃপর জব্দকৃত আলামত পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতের মাধ্যমে বোর্ডের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।

(৪) বোর্ড, উপধারা (৩) এর অধীন কোনো চলচ্চিত্র বা কোনো প্রচার সামগ্রী প্রাপ্তির পর উহা পরীক্ষা করিয়া, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে নিষ্পত্তি করিবে।

১০।  পুনর্বিবেচনার আবেদন

 (১) ধারা ৮ এর অধীন কোনো চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন সাময়িক স্থগিতাদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি উক্ত সাময়িক স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বোর্ডের নিকট পুনর্বিবেচনার আবেদন করিতে পারিবেন।

(২) ধারা ৯ এর অধীন কোনো চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন বাতিল দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সরকারের নিকট পুনর্বিবেচনার আবেদন করিতে পারিবেন।

(৩) উপধারা (১) বা (২) এর অধীন কোনো আবেদন দাখিল করা হইলে, উক্ত আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো আপিল দায়ের করা যাইবে না।

১১।  আপিল কমিটি

 (১) সরকার, বোর্ডের সিদ্ধান্ত দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক দাখিলকৃত আপিল আবেদন নিষ্পত্তির জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব এর সভাপতিত্বে একটি আপিল কমিটি গঠন করিবে, যাহা চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আপিল কমিটি নামে অভিহিত হইবে।

(২) আপিল কমিটির গঠন ও আপিল নিষ্পত্তির পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার, আদেশ দ্বারা, আপিল কমিটির গঠন ও আপিল নিষ্পত্তির পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।

(৩) বোর্ড, আপিল কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করিবে।

১২।  আপিল

 (১) বোর্ডের সিদ্ধান্ত দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি, বোর্ডের সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আপিল দায়ের করিতে পারিবেন।

(২) উপধারা (১) এর অধীন দায়েরকৃত কোনো আপিল নিম্নরূপে নিষ্পত্তি করিতে হইবে, যথা:-

(ক) আপিল কমিটি, আপিল পর্যালোচনায় সন্তুষ্ট হইলে উক্ত চলচ্চিত্র ধারা ৫ এর অধীন প্রদত্ত সার্টিফিকেশনে উল্লিখিত মেয়াদের জন্য বৈধ মর্মে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে এবং সরকার, উক্ত সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির পর ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে উহা আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে;

(খ) আপিল কমিটি, আপিল পর্যালোচনায় সন্তুষ্ট না হইলে উক্ত চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন প্রাপ্তির যোগ্য নহে বা উক্ত চলচ্চিত্র জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শনের উপযোগী নহে মর্মে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে এবং উক্ত সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত চলচ্চিত্রকে সার্টিফিকেশনবিহীন চলচ্চিত্র হিসাবে ঘোষণা করিয়া লিখিতভাবে আবেদনকারীকে উহা অবহিত করিবে;

(গ) আপিল নিষ্পত্তির পূর্বে আপিল দায়েরকারী ব্যক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।

(৩) উপধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আপিল কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মর্মে গণ্য হইবে।

১৩।   অপরাধ ও দণ্ড

 (১) যদি কোনো ব্যক্তি সার্টিফিকেশনবিহীন বা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত মূল্যায়ন প্রতীক পরিদৃষ্ট হয় না এমন কোনো চলচ্চিত্র কোনো স্থানে প্রদর্শন করেন বা প্রদর্শনে প্ররোচনা বা সহায়তা প্রদান করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসরের কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

(২) যদি কোনো ব্যক্তি কোনো চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন প্রাপ্তির পর, বোর্ড কর্তৃক, প্রদত্ত প্রতীকের কোনো পরিবর্তন ঘটান বা টেম্পারিং করেন বা অনুমোদনবিহীন প্রচার সামগ্রী দ্বারা প্রচারকার্য পরিচালনা করেন বা প্রচারের উদ্দেশ্যে অনুমোদনবিহীন প্রচার সামগ্রী মুদ্রণ, মজুতকরণ ও বাজারজাত করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ডে বা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

১৪।  কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন

যেক্ষেত্রে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন কোনো অপরাধী কোনো কোম্পানি বা অন্য কোনো সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা অন্য কোনো ফার্ম হয় সেইক্ষেত্রে, উহার কার্যক্রম পরিচালনার সহিত সম্পৃক্ত প্রত্যেক পরিচালক, অংশীদার, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, অপরাধটি তাহার জ্ঞাতসারে বা সম্মতিক্রমে হয় নাই বা ইহা রোধের জন্য তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করিয়াছিলেন।

১৫। বিচার, ইত্যাদি

 (১) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।

(২) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন-

(ক) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে; বা

(খ) মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ৫৯ নং আইন) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ধারা ১৩ এর উপধারা (২) এর অধীন সংঘটিত অপরাধ, উক্ত আইনের তপশিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট কর্তৃক বিচার্য হইবে।

১৬।  নিষেধাজ্ঞা বা অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি

অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ডের বক্তব্য শ্রবণ সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন দায়েরকৃত মামলার ক্ষেত্রে কোনো আদালত নিষেধাজ্ঞা বা অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি করিতে পারিবে।

১৭।  যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ ও সার্টিফিকেশন

 (১) চলচ্চিত্র শিল্পের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার লক্ষ্যে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সহিত কূটনৈতিক সম্পর্ক রহিয়াছে এমন এক বা একাধিক দেশের যৌথ প্রযোজনায়, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যাইবে।

(২) উপধারা (১) এর অধীন নির্মিত চলচ্চিত্র জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শনের পূর্বে সার্টিফিকেশন গ্রহণ করিতে হইবে।

১৮।  বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে বিদেশি শিল্পী-কলাকুশলীদের অংশগ্রহণ এবং বিদেশে দৃশ্য ধারণ

 (১) চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ এবং অভিনয় শৈলী ও কারিগরি জ্ঞান আদান প্রদানের লক্ষ্যে কোনো বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে বা বাংলাদেশের কোনো নাগরিক কর্তৃক নির্মিত কোনো চলচ্চিত্রে বিদেশি কোনো অভিনয় শিল্পী, কলাকুশলী, সংগীত শিল্পী, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন।

(২) কোনো বাংলাদেশি চলচ্চিত্র বা বাংলাদেশের কোনো নাগরিক কর্তৃক নির্মিত কোনো চলচ্চিত্রের বিদেশে দৃশ্য ধারণ এবং উহাতে বাংলাদেশি অভিনয় শিল্পী, কলাকুশলী ও সংগীত শিল্পীদের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

১৯।  বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

২০।  রহিতকরণ ও হেফাজত

 (১) এ আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে Censorship of Films Act, 1963 (Act No. XVIII of 1963), অতঃপর উক্ত Act বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত হইল।

(২) উপধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Act এর অধীন-

(ক) কৃত কোনো কার্য বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

(খ) প্রণীত কোনা বিধি, জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন, আদেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রদত্ত কোনো নোটিশ এই আইনের বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, বলবৎ থাকিবে এবং এই আইনের অধীন প্রণীত বা জারিকৃত বা প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

(গ) Censor Board কর্তৃক সংরক্ষিত সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ডপত্রসহ অন্যান্য সকল দলিলাদি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের নিকট হস্তান্তরিত হইবে এবং বোর্ড উহার স্বত্বাধিকারী হইবে; এবং

(ঘ) কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা, যতদূর সম্ভব, এই আইনের অধীন নিষ্পন্ন করিতে হইবে।

২১। ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ

 (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।

(২) এই আইন ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে।


source:http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-details-1471.html

Post a Comment

0 Comments