সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

অস্ত্র আইনের প্রশ্নোত্তর Arms Act 1878 Bangladesh

অস্ত্র আইন ১৮৭৮ pdf; অস্ত্র আইন ১৮৭৮ বাংলা; অস্ত্র আইন ১৯৭৮; অস্ত্র আইন ২০১৬; অস্ত্র আইনের ধারা; দেশীয় অস্ত্র আইন বাংলাদেশ; অস্ত্র আইন ২০০২; ধারালো অস্ত্র আইন; অস্ত্র মামলার ধারা কত?; বাংলাদেশের অস্ত্র আইন কি?; 27 অস্ত্র আইন কি?; অস্ত আইন কী?; অস্ত্র আইন ১৮৭৮ পিডিএফ; অস্ত্র আইন ১৮৭৮ বাংলা; ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন; বাংলাদেশ অস্ত্র আইন; অস্ত্র আইনের গুরুত্বপূর্ণ ধারা; অস্ত্র আইন ২০১৬; অস্ত্র আইন ২০০২; অস্ত্র আইন ১৯ ধারা;


  •  অস্ত্র আইনের ১৯ ধারা এবং ১৯-ক ধারা সম্পর্কে আলোচনা করুন।
  • সরকার কি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করতে পারেন? কোন কোন ক্ষেত্রে অস্ত্রশস্ত্র থানায় বা লাইসেন্স প্রাপ্ত ডিলারের নিকট জমা করতে হয়?
  • কোন পরিস্থিতিতে একজন পুলিশ অফিসার লাইসেন্সধারী ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করতে পারেন?
  • কে বা কারা অস্ত্র বহন করতে পারে? কোন কোন ক্ষেত্রে অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করতে পারেন?
  • অস্ত্র আইন অনুসারে মামলা তদন্তসীমা আলোচনা করুন।


আলোচনা

অস্ত্র আইনের ১৯ ধারা এবং ১৯-ক ধারা


অস্ত্র আইনের ১৯ ধারা: ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের বিধান লঙ্ঘন করে যদি কোন ব্যক্তি কোন অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ বা সামরিক সম্ভার প্রস্তুত, পরিবর্তন, বিক্রয় করে, অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়, অস্তশস্ত্র বা গোলাবারুদ দখলে রাখে তবে তা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। অস্ত্র আইনের ১৯ ধারা অনুসারে নিম্ন বর্ণিত কাজ অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। যেমন-

১. এ আইনের ৫ ধারার বিধান লঙ্ঘন করে যদি কোন ব্যক্তি অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ বা সামরিক সম্ভার প্রস্তুত, পরিবর্তন বা বিক্রয় করে বা রাখে অথবা বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাব বা প্রদর্শন করে।


২. এ আইনের ৬ ধারার বিধান লঙ্ঘন করে যদি কোন ব্যক্তি কোন অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ বা সামরিক সম্ভার আমদানি বা রপ্তানি করে।


৩. অস্ত্র আইনের ১০ ধারায় উল্লিখিত নিয়ন্ত্রন বা নিষেধ ভঙ্গ করে কোন অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ বা সামরিক সম্ভার পরিবহন করে বা নিয়ন্ত্রণে রাখে।


৪. এ আইনের ১৩ ধারার বিধান ভঙ্গ করে অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়।


৫. আলোচ্য আইনের ১৪ বা ১৫ ধারার বিধান লঙ্ঘন করে কোন অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ বা সামরিক সম্ভার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখে।


৬. অস্ত্র আইনের ১৭-গ অনুসারে যে সকল রেকর্ড রাখা আবশ্যক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে সেসব রেকর্ডে বা হিসাবে মিথ্যা অন্তর্ভূক্ত করে।


৭. অস্ত্র আইনের ১৭-৬ ধারা অনুসারে যা প্রদর্শন করা আবশ্যক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে তা প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়।


৮. এ আইনের ১৪ বা ১৬ ধারা অনুসারে যে সকল অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ বা সামরিক সম্ভার জমা দেয়া আবশ্যক যদি তা জমা দিতে ব্যর্থ হয়।


আইন ভঙ্গের শাস্তি: 

অস্ত্র আইনের ১৯ ধারার অধীন কোন অপরাধ করলে অভিযুক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অন্য যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ড যা সাত (৭) বছরের কম হবে না দণ্ডিত হবেন।


অস্ত্র আইনের ১৯-ক ধারা: 

১৯ ধারার বিধান থাকা সত্ত্বেও যদি কোন ব্যক্তি ১৯ক ধারার নিম্নরূপ অপরাধ করে-


১. এ আইনের ৫ ধারার বিধান লঙ্ঘন করে যদি কোন ব্যক্তি অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ বা সামরিক সম্ভার প্রস্তুত, পরিবর্তন বা বিক্রয় করে বা রাখে অথবা বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাব বা প্রদর্শন করে।


২. এ আইনের ৬ ধারার বিধান লঙ্ঘন করে যদি কোন ব্যক্তি কোন অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ বা সামরিক সম্ভার আমদানি বা রপ্তানি করে।


৩. এ আইনের ১৩ ধারার বিধান ভঙ্গ করে অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়।


৪. আলোচ্য আইনের ১৪ বা ১৫ ধারার বিধান লঙ্ঘন করে কোন অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ বা সামরিক সম্ভার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাছাড়া অপরাধ যদি পিস্তল, রিভলবার, রাইফেল, শর্টগান বা অন্যকোন আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কিত হয় তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধী বলে বিবেচিত হবে।


১৯-ক ধারার অধীন শাস্তি: 

অস্ত্র আইনের ১৯-ক ধারার অপরাধের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অন্য যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ড যার মেয়াদ দশ (১০) বছরের কম নয় দণ্ডিত হবেন।


সংক্ষেপে ধারা ১৯ ধারা এবং ১৯-ক এর তুলনা


ধারা ১৯

ধারা ১৯-

সাধারণ অবৈধ অস্ত্র বহন/মজুত

রাষ্ট্র/সন্ত্রাস বিরোধী কাজে অস্ত্র ব্যবহার

বছর থেকে যাবজ্জীবন

যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ড

জটিল, আদালতের বিবেচনায়

সাধারণত -জামিনযোগ্য

রাষ্ট্র বনাম আসামি (State vs Accused)

রাষ্ট্র বনাম আসামি



সরকার কর্তৃক অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল 

অস্ত্রআইন, ১৮৭৮ সালের ১৮ এবং ১৭-ক (২) ধারার ক্ষমতাবলে লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ বা ম্যাজিস্ট্রেট জনগণের নিরাপত্তার দিকটি বিবেচনায় নিয়ে পূর্বে প্রদানকৃত অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করতে পারেন। আলোচ্য ধারা অনুসারে-


১. অস্ত্র আইনের ১৭-ক (২) অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি আলোচ্য ধারার উপধারা (১) এ বর্ণিত সরকারি গেজেটে প্রকাশিত নির্দিষ্ট সময়ে অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও কোন ব্যক্তি অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করেন তবে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ অফিসার বা এতদউদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অপর কোন ব্যক্তি তাকে অস্ত্র মুক্ত করতে পারবে এবং তার অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করতে পারবে। উল্লেখ্য জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনের সময় উল্লিখিত লাইসেন্সধারী ব্যক্তির অস্ত্রের লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাতির করা যায়। উল্লেখ্য নির্বাচনের সময় বুঝাতে নোমিনেশন পেপার দাখিলের তারিখ হতে অফিসিয়াল গেজেটে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার তারিখ পর্যন্ত সময়কে বুঝাবে।


২. অস্ত্র আইনের ১৮ ধারা অনুসারে নিম্ন লিখিত ক্ষেত্রে অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল বা সাময়িকভাবে স্থগিত করা যাবে। যেমন-


ক. সরকার অফিসিয়াল গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে বা যে কোন এলাকার জন্য কোন অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল বা সাময়িকভাবে স্থগিত করতে পারেন।


খ. জননিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার নিমিত্ত প্রয়োজনবোধে লাইসেন্স প্রদানকারী অফিসার বা তার অধীনস্থ কোন অফিসার বা ম্যাজিস্ট্রেট যথাযোগ্য কারণ বিবেচনা করে উক্ত লাইসেন্স বাতিল বা সাময়িকভাবে স্থগিত করতে পারেন। ২ ক্রিএলজে ১৯৯৫ এ বলা হয়েছে ১৮ ধারায় বর্ণিত আবশ্যকীয় বিষয় হচ্ছে যে কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা পেয়েছেন তিনি কি কারণে লাইসেন্স বাতিল বা সাময়িক স্থগিত রেখেছেন তার কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।


গ. অস্ত্রশস্ত্রের লাইসেন্সধারী কোন ব্যক্তি অস্ত্র আইনের অধীন কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে দণ্ড প্রদানকারী জজ বা ম্যাজিস্ট্রেট দণ্ডিত ব্যক্তির অস্ত্রশস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল বা সাময়িকভাবে স্থগিত করতে পারবেন। ১৯৫৭ ক্রিএলজে ২৮২ এলা এ বলা হয়েছে জননিরাপত্তার কারণ না থাকলে শুধু ২২ ধারায় অধীন সাজাপ্রাপ্ত হলে কারও লাইসেন্স বাতিল করা যায় না।


সংক্ষেপে লাইসেন্স বাতিলের কারণসমূহ:

  1. লাইসেন্সধারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে (বিশেষ করে অস্ত্র, হত্যা, দাঙ্গা বা রাষ্ট্রবিরোধী মামলায়)
  2. লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করা হয়েছে
  3. ব্যক্তি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে
  4. অস্ত্রের অপব্যবহার বা জনসাধারণকে ভয় দেখানো হয়েছে
  5. অস্ত্র নির্ধারিত এলাকার বাইরে বহন করা হয়েছে
  6. জামিনে থাকা বা সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি
  7. সন্ত্রাসবাদ বা উগ্র রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা
  8. নবায়নের সময় সঠিক তথ্য না দেওয়া বা ফি না দেওয়া


কোন কোন ক্ষেত্রে অস্ত্র থানায় বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডিলারের নিকট জমা দিতে হয়?

পরিস্থতি

জমা দিতে হবে কোথায়

 নির্বাচনকালীন সময়

সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হয়

 লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত হলে

থানায় অথবা সরকার নির্দেশিত স্থানে

 মালিক মারা গেলে

উত্তরাধিকারীরা থানায় বা জেলা প্রশাসকের অফিসে জমা দেন

 অস্ত্র নবায়নকাল চলছে না

অস্থায়ীভাবে থানায় জমা রাখতে হয়

 সরকারি নির্দেশ থাকলে

যেমন – বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি বা বিশেষ অভিযান

 লাইসেন্সধারী বিদেশ গমনে গেলে

অস্ত্র থানায় বা লাইসেন্সড ডিলারের দোকানে জমা রাখতে হয়


লাইসেন্সধারী ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার 

অস্ত্র আইন, ১৮৭৮ এর ১২ ধারায় বলা হয়েছে যদি কোন ব্যক্তি লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রকাশ্য কোন স্থানে ঘোরাফেরা করে যার ফলে ন্যায়সঙ্গতভাবে সন্দেহের উদ্রেক হয় যে, যে সকল আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা হচ্ছে তা কোন বে-আইনি উদ্দেশ্যে বাহিত হচ্ছে তবে সে সকল ক্ষেত্রে যে কোন ব্যক্তি বিনা পরোয়ানায় তাকে গ্রেফতার করতে পারেন এবং তার নিকট হতে সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ বা সামরিক সম্ভার নিয়ে যেতে পারেন। উল্লেখ্য আটককৃত ব্যক্তি ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ না হলে-


১. আটককৃত ব্যক্তিকে

২. আটককৃত অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ বা সামরিক সরাঞ্জামসমূহ


যতদ্রুত সম্ভব পুলিশ অফিসারের নিকট হস্তান্তর করতে হবে। পুলিশও অযথা দেরী না করে আটকৃত ব্যক্তি এবং অস্ত্রশস্ত্র ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির করবেন।


কে বা কারা অস্ত্র বহন করতে পারে

কে অস্ত্র বহন করতে পারে: পিআরবি প্রবিধান ৮৮ (ক) এবং অস্ত্র আইনের ১ এর ব্যতিক্রম অনুসারে সরকারি বা সরকারের কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় অপর কোন সরকারি কর্মচারীর আদেশে অস্ত্রশস্ত্র বহন করা যায়। এছাড়াও যাদের অস্ত্র বহনের বৈধ লাইসেন্স আছে তারাও অস্ত্র বহন করতে পারেন। অস্ত্র আইনের ৫ ধারা অনুসারে যাকে অস্ত্রশস্ত্র দখলে রাখার ব্যপারে কোন বাধা প্রদান করা হয় নি সে ব্যক্তি অস্ত্র বহন করতে পারেন।


কোন কোন ক্ষেত্রে লাইসেন্স বাতিল/স্থগিত করা যায়:

১. অস্ত্র আইনের ১৭-ক (২) অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি আলোচ্য ধারার উপধারা (১) এ বর্ণিত সরকারি গেজেটে প্রকাশিত নির্দিষ্ট সময়ে অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করেন তবে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ অফিসার বা এতদউদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অপর কোন ব্যক্তি তাকে অস্ত্র মুক্ত করতে পারবেন এবং তার অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করতে পারবেন। জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনের সময় উল্লিখিত লাইসেন্সধারী ব্যক্তির অস্ত্রের লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাতিল করা যায়। উল্লেখ্য নির্বাচনের সময় বলতে নোমিনেশন পেপার দাখিলের তারিখ হতে অফিসিয়াল গেজেটে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার তারিখ পর্যন্ত সময়কে বুঝাবে।


২. অস্ত্র আইনের ১৮ ধারা অনুসারে নিম্ন লিখিত ক্ষেত্রে অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল বা সাময়িকভাবে স্থগিত করা যাবে। যেমন-


ক. সরকার অফিসিয়াল গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে বা যে কোন এলাকার জন্য কোন অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল বা সাময়িকভাবে স্থগিত করতে পারেন।


খ. জননিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার নিমিত্ত প্রয়োজনবোধে লাইসেন্স প্রদানকারী অফিসার বা তার অধীনস্থ কোন অফিসার বা ম্যাজিস্ট্রেট যথাযোগ্য কারণ বিবেচনা করে উক্ত লাইসেন্স বাতিল বা সাময়িকভাবে স্থগিত করতে পারেন। ২ ক্রিএলজে ১৯৯৫ এ বলা হয়েছে ১৮ ধারায় বর্ণিত আবশ্যকীয় বিষয় হচ্ছে- যে কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা পেয়েছেন তিনি কি কারণে লাইসেন্স বাতিল বা সাময়িক স্থগিত রেখেছেন তার কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।


গ. অস্ত্রশস্ত্রের লাইসেন্সধারী কোন ব্যক্তি অস্ত্র আইনের অধীন কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে দণ্ড প্রদানকারী জজ বা ম্যাজিস্ট্রেট দণ্ডিত ব্যক্তির অস্ত্রশস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল বা সাময়িকভাবে স্থগিত করতে পারবেন। ১৯৫৭ ক্রিএলজে ২৮২ এলা এ বলা হয়েছে জননিরাপত্তার কারণ না থাকলে শুধু ২২ ধারায় অধীন সাজাপ্রাপ্ত হলে কারও লাইসেন্স বাতিল করা যায় না।


অস্ত্র আইন অনুসারে মামলা তদন্ত

অস্ত্র আইনের ৩০-খ ধারায় মামলার তদন্ত সীমা ও পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে। আলোচ্য আইন অনুসারে অপরাধের মামলার তদন্তের সীমা নিম্নে আলোচনা করা হ'ল-


১. ফৌজদারী আইন বা বর্তমানে বলবৎ অন্যকোন আইনে যা থাকুক না কেন এ আইনের অধীন অপরাধের তদন্ত-


ক. অভিযুক্ত ব্যক্তি হাতে নাতে পুলিশ বা অন্য কারও মাধ্যমে ধৃত হলে তবে ধৃত হবার তারিখ হতে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে অপরাধের তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে।


খ. অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ সংগঠনের সময় হাতে নাতে ধৃত না হলে অপরাধ সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য প্রাপ্তি বা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক কোন অপরাধ তদন্তের আদেশ প্রাপ্তির পরবর্তী ষাট (৬০) কার্যদিবসের মধ্যে অপরাধ সম্পন্ন করতে হবে।


২. উপধারা (১) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে উদও কার্য সম্পন্ন করতে না পারলে তার কারণ লিপিবদ্ধ করণ পূর্বক অতিরিক্ত সাত (৭) কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্য সম্পন্ন করবেন। এ বিলম্বের কারণ উল্লেখপূর্বক তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে লিখিতভাবে অবহিত করবেন।


৩. উপধারা (২) এ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্ন করা না গেলে তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়ার কারণ উল্লেখপূর্বক তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ম্যজিস্ট্রেটকে লিখিতভাবে অবহিত করবেন।


৪. উপধারা (৩) এর অধীন তদন্তভার সম্পন্ন না হওয়া সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা অথবা সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত তদন্তভার অপর কোন কর্মকর্তার উপর ন্যস্ত করবেন। উক্ত তদন্তভার নতুন কোন তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হলে নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা-


ক. অভিযুক্ত ব্যক্তি হাতে নাতে ধৃত হলে তদন্তের আদেশ প্রাপ্তির সাত (৭) কর্মদিবসের মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্ন করবেন।


খ. অন্যান্য ক্ষেত্রে তদন্তের আদেশ প্রাপ্তির ত্রিশ (৩০) কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্য সম্পন্ন করবেন।


৫. যদি উপধারা (৪) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে উক্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার চব্বিশ (২৪) ঘণ্টার মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়ার কারণ উল্লেখ পূর্বক তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ম্যজিস্ট্রেটকে অবহিত করবেন।


৬. যদি উপধারা (২) এবং উপধারা (৪) এ উল্লিখিত সময়সীমার মাঝে তদন্ত কাজ সম্পন্ন, না হওয়া তদন্তকারী কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে হয়ে থাকে তবে তা তার অদক্ষতা বলে বিবেচিত হবে যা তার বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে। প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।


Post a Comment

0 Comments