সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

খ্রিস্টান পারিবারিক আইন_Christian family law

What is the Christian rule of marriage; What are Christian laws; Are Christians allowed to divorce and remarry; খ্রিস্টানদের বিয়ের নিয়ম কি; খ্রিস্টান আইন কি; Christian Marriage Act, 1872; Christian Divorce Act, 1869; Christian law in Bangladesh; Christian marriage in Bangladesh; Family Law in Bangladesh; Christian marriage vows; Christian law of inheritance; Family Law Ordinance, 1985;


 খ্রিস্টান পারিবারিক আইনে বিবাহ


The Christian Marriage Act, 1872 এর অধীনে খ্রিস্টানদের বিয়ে সম্পাদিত হয়। কিন্তু এই আইনের কোথাও বিয়ের সংজ্ঞা দেয়া হয়নি। ক্যানন আইনের ১০৫৫ ধারায় বিয়েকে বলা হয়েছে, একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও একটি পবিত্র চুক্তি। যার মাধ্যমে একজন নারী ও একজন পুরুষ সারাজীবনের জন্য তাদের মধ্যে একটি দাম্পত্য সম্পর্ক তৈরী করেন।


"কোড অফ ক্যানন ল” এর ১০৫৬ ধারায় বলা হয়েছে, খৃষ্টান বিয়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর ঐক্য আর অবিচ্ছেদ্যতা। 'কোড অফ ক্যানন ল' তে আসলে ধর্মীয় দিকটিকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যার ফলে এখানে বিয়েকে বলা হয়েছে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। 'কোড অফ ক্যানন ল' এর বিভিন্ন জায়গাতেও পরোক্ষভাবে বিয়েকে একটি চুক্তি বলা হয়েছে। খৃষ্টান বিয়ে লিখিত ভাবে সম্পাদন করতে হয় এবং অবশ্যই রেজিষ্ট্রি করতে হয়।


বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসন আমলে দি খ্রিস্টান ম্যারেজ এ্যাক্ট, ১৮৭২ (এ্যাক্ট নং XV)[The Christian Marriage Act, 1872], দি ডিভোর্স এ্যাক্ট ১৮৬৯(এ্যাক্ট নং IV)[The Divorce Act, 1869], দি সাক্সেশান এ্যাক্ট ১৯২৫[The Succession Act, 1925] প্রণীত হয়েছে। বৃটিশরা মূলতঃ প্রটেষ্টান্ট ধর্মাবলম্বী। এ কারণেই তাদের প্রণীত আইনে প্রটেষ্টান্টদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ফলে এই আইনগুলো প্রচলিত ক্যাথলিক ধর্মাচরণের সাথে পুরোপুরি খাপ খায় না। আমাদের দেশের ক্যাথলিকগণ কিন্তু এসব আইন অনুসরণ করেন না। ক্যাথলিকরা মূলতঃ ক্যানন আইন অনুসরণ করেন। রাষ্ট্রীয় এই ধর্মীয় আইনগুলো দ্বারা বিভিন্ন খৃষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মাচারণকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা দেখা যায় না।



বাংলাদেশের খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীরা প্রধানতঃ দু'টি সম্প্রদায়ে বিভক্ত। ক্যাথলিক ও প্রটেষ্টান্ট। বাংলাদেশের খৃষ্টানদের মধ্যে ক্যাথলিক সম্প্রদায়ভুক্ত জনসংখ্যাই বেশী। আর ক্যাথলিকদের পরিবারিক আইনের প্রধান গ্রন্থ হলো The Code of Canon Law। ক্যানন আইন সম্বলিত গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হয়েছে ক্যানন আইনের বিভিন্ন দিক। গ্রন্থটি প্রণীত হয়েছিল সিনড (Synod) কর্তৃক। সিনড হলো বিশপদের একটি সংস্থা যার প্রধান পদে থাকেন পোপ। কোড অফ ক্যানন ল-তে উল্লিখিত আইনসমূহ মূলতঃ বাইবেল থেকে নেয়া হয়েছে। সনাতন রোমান ক্যাথলিক চার্চের সাথে বিরোধের ফলেই প্রটেষ্টান্ট সম্প্রদায়ের উদ্ভব। সে কারণেই ক্যাথলিক ও প্রটেষ্টান্টদের মধ্যে ধর্মীয় আচারের দিক থেকে অনেক পার্থক্য রয়েছে। বলা হয় প্রটেষ্টান্টগণ তাদের ধর্মীয় আচার আচরণের দিক থেকে কিছুটা উদার ও প্রগতিশীল।


খৃষ্টান আইনে বিয়ের পদ্ধতি


খৃষ্টান বিয়ের পদ্ধতিটি বেশ দীর্ঘ। খৃষ্টান ম্যারেজ এ্যাষ্ট ১৮৭২ অনুযায়ী খৃষ্টান বিয়ের পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতি নিম্নে বর্ণনা করা হলো—


নোটিশ

যে দু'জন নর-নারী বিয়ে করতে ইচ্ছুক, তাদের যে কোন একজন যে চার্চের ধর্ম যাজককে দিয়ে বিয়েটি সম্পাদন করাতে চান তাঁর উদ্দেশ্যে একটি নোটিশ পাঠাবেন। তবে এখানে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যে ধর্মযাজক বিয়ে পড়াবেন ম্যারেজ এ্যাষ্ট, ১৮৭২ অনুযায়ী বিয়ে পড়ানোর জন্যে সরকারের কাছ থেকে তার লাইসেন্স থাকতে হবে। এই নোটিশ দেয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফরম আছে। সেই ফরমে নিম্নে উল্লিখিত বিষয়গুলো থাকতে হবে:

ক. যে দু'জন বিয়ে করবে তাদের পুরো নাম ও পেশা।

খ. তাদের দু'জনের আবাসস্থল বা বাসার ঠিকানা।

গ. কতদিন ধরে তারা সেখানে বসবাস করছে।

ঘ. যেখানে বিয়েটি সম্পাদিত হবে, অর্থাৎ যে চার্চে অথবা অন্য যে স্থানে তার ঠিকানা


এই নোটিশ পাবার পর, চার্চের ধর্মযাজক, যিনি এই বিয়ে সম্পাদন করতে চান, তিনি নোটিশটিকে একটি খোলা জায়গায় লাগিয়ে দিবেন, যাতে সবার নজরে পড়ে। তবে যদি সেই ধর্মযাজক বিয়ে সম্পাদন করার ক্ষমতা বা লাইসেন্স প্রাপ্ত না হন বা ভুল চার্চে নোটিশ দেয়া হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে সে ধর্মযাজক তার ইচ্ছে হলে নোটিশটি প্রত্যাখান করতে পারেন। অথবা অন্য কোন ক্ষমতা প্রাপ্ত ধর্মযাজকের কাছে নোটিশটি পাঠিয়ে দিতে পারেন।


বিয়ের ইচ্ছা পোষণ করে কোন নাবালক নোটিশ প্রদান করে থাকলে, ধর্মযাজক নোটিশটিকে জেলার বিয়ে রেজিষ্ট্রারকে পাঠিয়ে দিবেন, যদি একাধিক বিয়ে রেজিস্ট্রার থাকে তবে সিনিয়র বিয়ে রেজিস্ট্রারকে নোটিশটি পাঠিয়ে দিতে হবে। নোটিশ পাবার পর বিয়ে রেজিষ্ট্রার এটিকে সবার নজরে পড়ে এমন কোন জায়গায় ঝুলিয়ে দিবেন। অন্যান্য বিয়ে রেজিষ্ট্রারও একইভাবে তাদের নিজ নিজ অফিসে নোটিশ ঝুলিয়ে দিবেন। নোটিশ ঝুলিয়ে দেবার পর সাধারণতঃ কয়েক সপ্তাহ সময় নেয়া হয়, যাতে করে কারো কোন আপত্তি থাকলে তা জানানোর জন্য যথেষ্ঠ সময় থাকে।


সার্টিফিকেট

নোটিশ পাবার কমপক্ষে চারদিন অতিবাহিত হবার পর, সেই চার্চের ধর্মযাজক একটি সার্টিফিকেট প্রদান করবেন। তবে সার্টিফিকেট জারি করবার আগে চার্চ প্রধান বিয়ের পক্ষদের কাছ থেকে একটি ঘোষণা (Declaration) গ্রহণ করবেন। যে ব্যক্তি বিয়ে করতে আগ্রহী সে ব্যক্তিগতভাবে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির হয়ে এই ঘোষণা দিবে যে-


১. বর বা কনে বিশ্বাস করে যে তাদের মধ্যে এমন কোন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার বা রক্তের সম্পর্ক নেই যা বিয়েতে আইনগত বাধা হিসাবে কাজ করবে।


২. বিয়ের বর বা কনে যদি নাবালক হয় সেক্ষেত্রে, তারা আইন অনুযায়ী তাদের পিতা, অপর কোন অভিভাবক অথবা মাতার সম্মতি নিয়েই এই বিয়ে করতে যাচ্ছে।


নাবালকের বিয়ে: বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯-এ যেহেতু বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেহেতু ১৮ বছরের কম বয়স্ক কোন মেয়ে এবং ২১ বছরের কম বয়স্ক কোন ছেলের বিয়ে করা বেআইনী, তা বাবা মায়ের সম্মতি নিয়ে করুক আর সম্মতি না নিয়েই করুক। তবে এখানে একটি লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, নাবালক বা নাবালিকার বিয়ের ক্ষেত্রে মায়ের সম্মতিকে রাখা হয়েছে তৃতীয় পর্যায়ে। অর্থাৎ যদি পিতা বর্তমান থাকে তবে পিতার সম্মতি নিতে হবে, পিতার অবর্তমানে অপর কোন অভিভাবকের এবং কোন অভিভাবকের অবর্তমানেই কেবল মায়ের সম্মতি নেবার প্রয়োজন পড়বে। মায়ের প্রতি এটা এক ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ। যে কোন বিচারেই অন্য কোন অভিভাবকের চেয়ে মায়ের সম্মতি অগ্রগণ্য হবার যোগ্য।


ঘোষণাটির যথার্থতা যাচাই

নোটিশ পাবার পর এবং সার্টিফিকেট জারি করার আগে ধর্মযাজক, বর বা কনের দেয়া ঘোষণাটির যথার্থতা যাচাই করবেন এবং কোন আপত্তি উত্থাপিত হয় কিনা তা লক্ষ্য করবেন। এই দিকগুলো বিবেচনা করার পর তিনি বিয়ের সার্টিফিকেট জারি করবেন।


বিয়ের অনুষ্ঠান

বিয়ের সার্টিফিকেটের কার্যকারিতা দুই মাস পর্যন্ত থাকে। এই দুই মাসের মধ্যেই বিয়ে সম্পাদিত হতে হবে। এই বিয়ে সম্পাদনের সময় দুইজন সাক্ষী উপস্থিত থাকবেন।


খৃষ্টান আইনে বিয়ের শর্তাবলী:


খৃষ্টান আইনে বিয়ের কয়েকটি শর্ত আছে। যেগুলো পূরণ করা না হলে বিয়ে সম্পন্ন হয় না। খৃষ্টান ম্যারেজ এ্যাক্টের ৬০ ধারায় এই শর্তগুলোর উল্লেখ আছে। এগুলো হলো—


বয়স: খৃষ্টান আইনে বিয়েতে যোগ্যতা অর্জনের জন্যে বরের বয়স হতে হয় ১৬ বছর, আর কনের বয়স ১৪ বছর। তবে আঠারো বছরের কম হলে, বিয়ের জন্য পিতা, অভিভাবক বা মাতার সম্মতি লাগবে।


কিন্তু, বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন প্রবর্তিত হবার পর থেকে এই নিয়মটির আর কোন কার্যকারিতা নেই। কেননা 'বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯' বাংলাদেশের সকল নাগরিকের ওপরই প্রযোজ্য। খৃষ্টানদের বেলায়ও 'বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯ প্রযোজ্য। ফলে ২১ বছরের কম বয়সের কোন ছেলে এবং ১৮ বছরের কম বয়সের কোন মেয়ের বিয়ে রীতিমতো বেআইনী। পিতা, মাতা বা অভিভাবকের সম্মতি থাকলেও এ ধরনের বিয়ে বেআইনী হবে। মনে রাখতে হবে কম বয়স্ক ছেলে মেয়েদের বিয়ে করা এবং দেয়া দু'টোই দন্ডনীয় অপরাধ।


বৈবাহিক অবস্থা বিয়েতে বর বা কনে কারোরই আগের কোন স্বামী বা স্ত্রী বর্তমান থাকা চলবে না। উপরের শর্তটি থেকে বোঝা যাচ্ছে, খৃষ্টান ধর্ম মতে একইসাথে একাধিক বিয়ে করা যায় না।


সাক্ষী: প্রতিটি খৃষ্টান বিয়ে দু'জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে।


সম্মতি: বিয়ের অনুষ্ঠানে বর ও কনে উভয়েই সাক্ষী ও উপস্থিত সকলের সামনে পরিস্কারভাবে বিয়েতে তাদের নিজ নিজ সম্মতির কথা ঘোষণা করবে। সম্মতি প্রকাশ করা হয় এমন— "আমি এখানে উপস্থিত সকলকে লক্ষ্য করতে অনুরোধ করছি যে, আমি 'ক' সর্বশক্তিমান স্রষ্টার উপস্থিতিতে এবং আমাদের প্রভু জেসাস ক্রাইষ্ট-এর নামে, 'চ' কে আইন অনুযায়ী আমার বিবাহিত স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করছি।" বা একই অর্থ ধারণ করে এমন অন্য কোন ভাষায়।


রেজিষ্ট্রেশন: সম্পাদিত প্রতিটি বিয়ে রেজিষ্ট্রি করা বাধ্যতামূলক। প্রটেষ্টান্টরা তাদের বিয়ে রেজিষ্ট্রি করে থাকে সরকার কর্তৃক নিয়োজিত ম্যারেজ রেজিষ্ট্রারের কাছে। তবে ক্যাথলিকগণ তাদের বিয়ের রেজিষ্ট্রেশন করে থাকে চার্চের ধর্মযাজকের কাছে।


ক্যানন আইন অনুসারে বিয়ের ফলাফল:


১. বিয়ের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটি স্থায়ী সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।

২. স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি সমান দায়িত্ব ও অধিকার প্রাপ্ত হয়।

৩. পিতা-মাতা সন্তানের শারীরিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নৈতিক এবং ধর্মীয় বিকাশের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।

৪. একটি বৈধ বিয়ের পরে কোন সন্তান জন্ম লাভ করলে বা মাতৃগর্ভে থাকলে সে সন্তান দম্পত্তির বৈধ সন্তান হিসেবে গণ্য হবে।

৫. বিয়ে অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ১৮০ দিনে মধ্যে কোন সন্তান জন্ম লাভ করলে সে সম্পত্তির বৈধ সন্তান হিসাবে গণ্য বিবেচিত হবে। আর কোন দম্পত্তির মধ্যে বিয়ে-বিচ্ছেদ হয়ে যাবার ৩০ দিন পর যদি কোন সন্তান জন্ম লাভকরে তাহলে সে সন্তানও বৈধ সন্তান হিসেবে বিবেচিত হবে। যদি দু'জন অবিবাহিতা নারী ও পুরুষ-এর মধ্যে দৈহিক মিলনের ফলে কোন সন্তান জন্ম লাভ করে সেক্ষেত্রে সেই নারী ও পুরুষ তাদের মধ্যে বিয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেই সন্তানকে বৈধ করে নিতে পারে।


বিবাহ-বিচ্ছেদ(Dissolution of marriage):


অতীতে খৃষ্টান ধর্মে বিয়ে একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বলে বিবেচিত হত। বিশেষ করে ক্যাথলিক আইনে বিয়ে-বিচ্ছেদ রীতিমত নিষিদ্ধই ছিল। এখনও ক্যাথলিকদের মধ্যে বিয়ে-বিচ্ছেদের প্রচলন তেমন নেই। তবে প্রটেষ্টান্টদের ক্ষেত্রে বিয়ে-বিচ্ছেদে কোন বাধা নেই। ক্যাথলিকরা তাদের বিয়ে পুরোপুরি বাতিল করার মাধ্যমে বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারে। বাংলাদেশের খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীরা ডিভোর্স এ্যাক্ট ১৮৬৯ এর অধীনে বিয়ে-বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে।


১৮৬৯ সালের ডিভোর্স এ্যাক্ট অনুযায়ী, কোন খৃষ্টান দম্পত্তি তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য তিনটি ব্যবস্থা নিতে পারে—

ক. বিয়ে বিচ্ছেদ (Dissolution of marriage);

 খ. বিয়ে বাতিল করণ (Nullity of marriage);

গ. জুডিসিয়াল সেপারেশন (Judicial separation)


ডিভোর্স এ্যাক্টের ১০ ধারায় বিয়ে-বিচ্ছেদ সম্পর্কে বলা হয়েছে। স্বামী, স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন করতে পারে। কোন স্ত্রী নিচে উল্লিখিত কারণগুলোর এক বা একাধিক কারণে আদালতে বিয়ে-বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করতে পারে—


ক. স্বামীর খৃষ্টান ধর্ম ত্যাগ এবং অন্য ধর্ম গ্রহণ করা এবং অপর কোন মহিলার সংগে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, অথবা

 খ. কোন নিকট আত্মীয়ের সংগে ব্যভিচারে লিপ্ত থাকা, অথবা

গ. বহুগামিতা এবং ব্যভিচার করা, অথবা 環境)

 ঘ. অপর কোন মহিলার সাথে বিয়ে এবং ব্যভিচার, অথবা

ঙ. ধর্ষণ, সমকামীতা, পাশবিকতা, অথবা

 চ. ব্যভিচার ও নৃশংসতা, অথবা

ছ. ব্যভিচার এবং কোন যুক্তি সংগত কারণ ছাড়া দু'বছরের বেশি সময় ধরে স্ত্রীর খোঁজ খবর না নেয়া।


ডিভোর্স এ্যাক্টের ১১নং ধারা অনুসারে ব্যভিচারের অভিযোগের সাথে, অভিযুক্ত ব্যক্তি কার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত আছে তা উল্লেখ করাও প্রয়োজন এবং কোন স্বামী কোন স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগ এনে থাকলে, যে ব্যক্তির সাথে স্ত্রী ব্যভিচারে লিপ্ত ছিল তার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবি করে আদালতে মামলা করতে পারে।


বিয়ে বাতিল করণ (Nullity of marriage)


যে কোন স্ত্রী বা স্বামী বিয়ে-বাতিলের জন্য যথাযথ আদালতে আবেদন করতে পারে। নিম্নলিখিত কারণগুলোর ক্ষেত্রে আদালত বিয়ে-বাতিল ঘোষণা করতে পারে:


ক. স্বামী বিয়ের সময়ে এবং মামলা দায়ের করার সময় পর্যন্ত পুরুষত্বহীন ছিল।

খ. বিয়ের পক্ষদ্বয়ের মধ্যে আত্মীয়তা ও রক্তের সম্পর্ক এমন যে তাদের মধ্যে বিয়ে আইনত নিষিদ্ধ।

 গ. বর বা কনে যে কেউ বিয়ের সময় পাগল ছিল।

 ঘ. স্বামী বা স্ত্রী যে কারো পূর্বতন স্ত্রী বা স্বামী বিয়ের সময় জীবিত ছিল, আর পুরোনো বিয়েটি তখনও কার্যকর ছিল।


উপরে উল্লেখিত ক্ষেত্রগুলো ছাড়াও, আদালত যদি মনে করে যে, বিয়েতে কোন পক্ষের সম্মতি জোরপূর্বক আদায় করা হয়েছিল, সেক্ষেত্রে ঐ বিয়ে বাতিল ঘোষণা করতে পারে।


বাতিল হয়ে যাওয়া বিয়ের ক্ষেত্রে সন্তানদের অবস্থা:


কোন দম্পতি যদি বিয়ে বাতিল করার জন্য আদালতে আবেদন করে এবং তাদের যদি সন্তান থাকে তবে আদালতের ডিক্রিতে সে সন্তানের কথা উল্লেখ থাকবে। এই সন্তান একজন বৈধ সন্তানের মতই পিতা মাতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে। তবে শর্ত আছে যে, বিয়ে চুক্তিটি সম্পাদিত হবার সময় দু'পক্ষেরই বিয়ে করার যোগ্য ছিল বা তাদের সৎ বিশ্বাস ছিল যে তারা বিয়ের যোগ্যতা সম্পন্ন।


জুডিসিয়াল সেপারেশন (Judicial separation)


ব্যভিচার, নিষ্ঠুরতা বা নৃশংসতা বা কোন কারণ ছাড়া দু'বছর বা তার চেয়ে বেশি সময় ধরে পরিত্যাগ করার কারণে স্বামী বা স্ত্রী আদালতে জুডিসিয়াল সেপারেশনের ডিক্রির জন্য আবেদন করতে পারে। আবেদনে উল্লিখিত কারণগুলোর সত্যতা বিচার করে আদালত জুডিসিয়াল সেপারেশনের ডিক্রি জারি করতে পারে।


জুডিসিয়াল সেপারেশন হবার পর একজন স্ত্রী আবার তার অবিবাহিতা অবস্থায় ফিরে যায়। সম্পত্তির ক্ষেত্রে স্ত্রী তার যাবতীয় পাওনার অধিকারিণী হয় এবং সকল সম্পত্তি তার ইচ্ছা মত ব্যয় করতে পারে।


ক্যানন আইন মতে রোমান ক্যাথলিকদের মধ্যে সম্পাদিত বিয়ে কখনোই ভাঙ্গা যায় না। কেবল মাত্র মৃত্যুই দু'জন ক্যাথলিক স্বামী-স্ত্রীকে আলাদা করতে পারে। যদিও বলা হয় ক্যাথলিকদের মধ্যে সংঘটিত বিয়ে কোনভাবেই বিচ্ছেদ করা যায় না, তারপরেও ক্যাথলিকদের মধ্যে বিয়ে-বিচ্ছেদের প্রচলন দেখা যায়। এই বিয়ে-বিচ্ছেদ সংঘটিত হয় বিয়েটিকে পুরোপুরি বাতিল করার মাধ্যমে। যেমন ব্যাপটিজম হয়েছে এমন কারো সাথে যদি ব্যাপটিজম হয়নি এরকম কারো বিয়ে হয় তাহলে তাদের মধ্যে বিয়ে-বিচ্ছেদ সম্ভব। তবে শর্ত হল, বিচ্ছেদ ঘটাতে হবে তাদের মধ্যে দৈহিক মিলনের আগেই।


এলিমনি বা ভরণপোষণ


খ্রিস্টধর্মে এলিমনি (Alimony) বলতে সাধারণত বিবাহবিচ্ছেদের পর একজন স্বামী বা স্ত্রীর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানকে বোঝায়, যা অন্য পক্ষের জীবনধারণ বা প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে দেওয়া হয়। তবে খ্রিস্টধর্মে এর প্রাসঙ্গিকতা কিছুটা ধর্মীয় নীতি ও আইন দ্বারা নির্ধারিত হয়। খ্রিস্টধর্মে বাইবেলে সরাসরি “এলিমনি” শব্দটি উল্লেখ নেই। তবে বিবাহ, পরিবার এবং দায়বদ্ধতা নিয়ে কিছু নিয়ম আছে:


১ করিন্থীয় ৭:৩–৪: স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক দায়বদ্ধতা এবং সহায়তার কথা বলা হয়েছে। স্বামী ও স্ত্রী একে অপরের প্রয়োজন মেটাতে দায়বদ্ধ।


মালাকী ২:১৬: ঈশ্বর বিবাহভঙ্গকে অপছন্দ করেন, তাই খ্রিস্টধর্মে বিবাহকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। তবে, বিচ্ছেদ হলে অর্থনৈতিক দায়িত্বও বিবেচিত হতে পারে।


খ্রিস্টীয় সমাজে সাধারণত স্ত্রী বা স্বামীর জীবনধারণের জন্য আর্থিক সহায়তার নীতি নৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রচলিত।


খ্রিস্টধর্মে স্বামী–স্ত্রী উভয়ই একে অপরের আর্থিক ও নৈতিক সহায়তার জন্য দায়বদ্ধ। যদি একজন স্বামী বা স্ত্রী আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হন, আইন ও নৈতিকভাবে অন্য পক্ষকে সহায়তা দিতে হতে পারে। সন্তান থাকলে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা (Child Support) দিতে হয়, যা আলিমনি থেকে আলাদা। 


খ্রিস্টধর্মের অনুসারীরা সাধারণত দেশীয় আইন অনুসারে এলিমনি পান।যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ইত্যাদি দেশে বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে আদালত স্বামী বা স্ত্রীকে আর্থিক সহায়তা বা পেনশন (Alimony) দিতে বাধ্য করতে পারে।


বিচ্ছেদ মামলা চলাকালীন সময়ে ভরণপোষণ


বাংলাদেশে খ্রিস্টানদের বিচ্ছেদ মামলা চলাকালে স্ত্রী Section 36 of Divorce Act, 1869 অনুযায়ী আদালতের মাধ্যমে অস্থায়ী এলিমনি দাবি করতে পারেন, যা মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রদানযোগ্য। আদালত সবদিক বিবেচনা করে এলিমনির পরিমাণ নির্ধারণ করবে। মামলা চলাকালীন সময়ে নির্ধারিত এলিমনির পরিমাণ কোন ক্ষেত্রেই স্বামীর বিগত তিন বছরের গড় আয়ের পাঁচ ভাগের এক ভাগের বেশি হবে না।


বিচ্ছেদের পর ভরণপোষণ


খৃষ্টান বিয়ে ভেঙ্গে যাবার পর একজন স্বামী তার প্রাক্তন স্ত্রীকে কি পরিমাণ টাকা এবং কতদিন ধরে ভরণপোষণ দিবে তা নির্ধারণ করে আদালত। সাধারণতঃ বিয়ে বিচ্ছেদের ডিক্রির সাথেই এ সংক্রান্ত নির্দেশাবলীও দিয়ে দেয়া হয়।


ডিভোর্স এ্যাক্টের ৩৭ ধারা অনুযায়ী, স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদের পর থেকে স্থায়ীভাবে ভরণপোষণ পেতে পারে। আদালত সকল দিক বিবেচনা করে ভরণপোষণ দেবার নির্দেশ দেয়। এই ভরণপোষণ হতে পারে মাসিক ভিত্তিতে অথবা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে। তবে কোন সময় যদি স্বামী ভরণপোষণ দিতে অসমর্থ হয়ে পড়ে তখন আদালত হয়ত তাকে সাময়িক ভাবে ভারণপোষণ দেয়া থেকে অব্যাহতি দিতে পারে বা ভরণপোষণের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে। তবে আবার যদি সে অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম হয়ে উঠে তবে আগের নির্দেশ মতই তাকে ভরণপোষণ দিতে হবে। স্ত্রীর বিরুদ্ধে অসদাচারন বা ব্যভিচারে লিপ্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও আদালত কর্তৃক নির্ধারিত এলিমনি দিতে হবে।


এছাড়াও, কোন স্বামী যদি স্ত্রীকে ভারণপোষণ না দেয় সেক্ষেত্রে Divorce Act, 1869–এর (Section 36 ও 37) অধীনে স্ত্রী যেমন সিভিল কোর্টে এলিমনি দাবি করতে পারেন, তেমনি তিনি ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৮৮ ধারা–এর অধীনে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে স্বামীর কাছ থেকে মাসিক ভরণপোষণও চাইতে পারেন।


সন্তানের ভরণপোষণ


কোন খৃষ্টান দম্পতির বিয়ে ভেঙ্গে যাবার পর সন্তানের ভরণপোষণের প্রশ্নটিও আদালতের এখতিয়ারভুক্ত। সন্তানের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে আদালত নির্ধারণ করবে, কে কি পরিমাণ ভরণপোষণ সন্তানকে দেবে। কোন দম্পতির মধ্যে বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন সময়েও আদালত, সন্তানের জিম্মাদারিত্ব (custody) ভরণপোষণ, শিক্ষা ইত্যাদি সংক্রান্ত নির্দেশ প্রদান করবে। সন্তানের ভরণপোষণের ব্যাপারটি মূলতঃ আদালতের সুবিবেচনার ওপরই নির্ভরশীল। তবে যেহেতু খৃষ্টান ধর্ম মতে পিতাই সন্তানের প্রকৃত অভিভাবক তাই সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব মূলতঃ পিতারই। 'কোড অফ ক্যানন ল' এর ১১৫৪ ধারাতেও ভরণপোষণ সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে যে ক্যানন ল অনুসারে সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব ও পরিমাণ নির্ধারণ করবে চার্চ।


উত্তরাধিকার 

বাংলাদেশের একজন খ্রিস্টান নাগরিকের সম্পত্তিতে উইলবিহীন ও উইলভিত্তিক উত্তরাধিকারের বিষয়াদি ১৯২৫ সালের উত্তরাধিকার আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। উদাহারনস্বরূপ, কোনো খ্রিস্টান উইল সম্পাদন না করে মৃত্যুবরণ করলে তার সম্পত্তি জীবিত স্বামী/বিধবা স্ত্রী, নিকট উত্তরপুরুষ বা জ্ঞাতির ওপর বর্তাবে। বিবাহপূর্ব সম্পাদিত বৈধ চুক্তিবলে একজন বিধবা মৃত স্বামীর ভূসম্পত্তির অংশভাগ থেকে নিজেকে বিযুক্ত রাখতে পারে। কোনো খ্রিস্টান উইল সম্পাদন না করে বিধবা স্ত্রী/স্বামী ও নিকট উত্তরাধিকারী রেখে মারা গেলে স্বামী/স্ত্রী পাবে সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ এবং দুই-তৃতীয়াংশ পাবে বংশধরেরা। কোনো খ্রিস্টান উইল সম্পাদন না করে কেবল স্ত্রী/স্বামী ও জ্ঞাতি রেখে মারা গেলে সম্পত্তির অর্ধাংশের অধিকারী হবে স্ত্রী/স্বামী এবং বাকি অর্ধাংশ পাবে জ্ঞাতি। দেশিয় খ্রিস্টান নয় এমন খ্রিস্টান স্বামী/স্ত্রী উইল সম্পাদন না করে মারা গেলে এবং তাদের কোনো বংশধর না থাকলে উক্ত জীবিত স্বামী/স্ত্রী ৫০০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যের সম্পত্তি এবং মৃতের সম্পত্তির অবশিষ্ট কিছু থাকলে তার অংশভাগ পাবে। কেউ উইল সম্পাদন না করে এক সন্তান রেখে মারা গেলে তার সম্পত্তি সে জীবিত সন্তান পাবে এবং জীবিত সন্তান একাধিক হলে তারা সম্পত্তির সমান অংশের উত্তরাধিকারী হবে। কেউ উইল সম্পাদন না করে মারা গেলে এবং তার কোনো জীবিত সন্তান না থাকলে কিন্তু এক বা একাধিক পৌত্র/পৌত্রী থাকলে তার সম্পত্তি জীবিত পৌত্র-পৌত্রীরা পাবে। পৌত্র বা পৌত্রী একজন থাকলে সে সম্পূর্ণ সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে, একাধিক থাকলে ওই সম্পত্তিতে তাদের সমান অধিকার বর্তাবে।


কোনো খ্রিস্টান উইল সম্পাদন না করে শুধু প্রপৌত্র-প্রপৌত্রী কিংবা দূরসম্পর্কের বংশধর রেখে মারা গেলে, যেভাবে তার কোনো সন্তান বা সন্তানাদি থাকলে সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার লাভ করত সেভাবেই উল্লিখিত জীবিত বংশধররাও আত্মীয়তার ঘনিষ্ঠতাক্রমে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির অংশভাগ লাভ করবে। কিন্তু কোনো ব্যক্তি উইল সম্পাদন না করে এক বা একাধিক সন্তান বা মৃত সন্তান বা সন্তানদের পৌত্র-পৌত্রী (এক বা একাধিক) রেখে মারা গেলে জীবিত বংশধরদের সকলেই মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হবে, যেন মৃত ব্যক্তির মৃত্যুকালে উক্ত মৃত সন্তান বা সন্তানগণ জীবিত ছিল। উইল সম্পাদন ব্যতীত কোনো বংশধর না রেখে কেউ মারা গেলে ও তার পিতা জীবিত থাকলে এ সম্পত্তির ওপর তার পিতার পূর্ণ অধিকার বর্তাবে। উইল সম্পাদন না করে প্রয়াত ব্যক্তির পিতা জীবিত না থাকলে এবং তার মা, ভাই ও বোন বেঁচে থাকলে তারা সমান অংশে ওই ব্যক্তির সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে, তবে উক্ত মৃত ব্যক্তির কোনো ভাই বা বোন তার আগেই মারা গিয়ে থাকলে ও তাদের সন্তান থাকলে তারাও তাদের পিতামাতার প্রাপ্য অংশ পাবে। উইল সম্পাদন ব্যতীত মৃত ব্যক্তির কেবল মা বেঁচে থাকলে এবং কোনো ভাই, বোন বা ভাইবোনের ছেলেমেয়ে না থাকলে তার মা সম্পূর্ণ সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে। উইল সম্পাদন না করে মারা গেলে এবং প্রয়াত ব্যক্তির কোনো নিকট উত্তরাধিকারী না থাকলে, বাবা/মা না থাকলে, তার সম্পত্তি সমান অংশে তার ভাইবোন এবং তার জীবদ্দশায় মৃত ভাইবোনের সন্তানদের ওপর সমান অংশে বর্তাবে, মৃত ভাইবোন বেঁচে থাকলে যেমন অংশ পেতেন। উইল সম্পাদন না করে মৃত ব্যক্তির কোনো উত্তরাধিকারী, বাবা মা বা ভাইবোন না থাকলে তার সম্পত্তি সমান অংশে তার নিকটতম আত্মীয়রা পাবে। 


সহায়তায়-

ক। The Code of Canon Law

খ। আইন ও সালিশ 

গ। The Christian Marriage Act, 1872

ঘ। উত্তরাধিকার আইন-১৯২৫

ঙ। Divorce Act, 1869

চ। খ্রিস্টান আইন-কাজী এবাদুল হক: বাংলাপিডিয়া



Post a Comment

0 Comments